
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে বলে মনে করেন না তিনি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এ ব্যাপারে দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয় জানেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে তাকে জানানো হবে।
সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলে উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ছয়টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছে। কেউ বলছে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার কেউ কেউ সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যাবে, তা যেন সরকার দ্রুত সম্পন্ন করে, সে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুজন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ দলই তা পাঠিয়েছে। তারা চায়, এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। সে হিসাবে কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর পর আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক হচ্ছে। সূচনা বক্তব্যে আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।