Image description

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অর্থনীতি ও ব্যবসা সংক্রান্ত খবর কভার করা সাংবাদিকদের জন্য কঠিন ও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা শুধু অধিকার নয়, দায়িত্বও। নামি পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়া অর্থনীতিবিদদের আভায় সাংবাদিকদের ভীত না হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, কিছু পরিসংখ্যান বেছে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুবই সহজ। আমাদের অনেক অর্থনীতিবিদ এই কৌশলে দক্ষ বা সিদ্ধহস্ত। তারা প্রায়ই অর্থনীতি, কর্মসংস্থান বা দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে নাটকীয় সব দাবি তোলেন—শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে। আর খুব কম সময়ই কেউ তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাদের ডিগ্রি, আত্মবিশ্বাস আর চমকপ্রদ ভাষা আপনাকে ভীত করে তোলে। তাদের সামনে আপনি নিজেকে ছোট মনে করেন—হয়তো “বোকা” মনে হতে পারে ভেবে হাত তুলতেও সংকোচ বোধ করেন।

ফেসবুকে প্রেস সচিব শফিকুল আরও বলেন, ‌কিন্তু অর্থনীতি ও ব্যবসা কভার করা সাংবাদিকদের জন্য, কঠিন ও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা শুধু অধিকার নয়—এটি দায়িত্বও। নামি পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়া অর্থনীতিবিদদের আভায় ভীত হয়ে যাবেন না। যখন কেউ বেছে নেওয়া সামান্য তথ্য দিয়ে বড় দাবি করেন—এটাই আপনার সুযোগ। তখনই মুখোশ খুলে যায়। আর তা কার্যকরভাবে করতে হলে সব ধরনের পরিসংখ্যান জানা প্রয়োজন। আপনার কি অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তৈরি করার মতো একটি স্প্রেডশিট আছে যেখানে ডজনখানেক সূচক রয়েছে? শুধু রপ্তানি, আমদানি, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা চলতি হিসাব ঘাটতিতেই থেমে থাকবেন না। অপরাধের পরিসংখ্যান? সাম্প্রতিক শ্রম অস্থিরতা? আন্তঃখাত প্রভাব? অর্থনীতির বিভিন্ন খাত কেমনভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত—এসবও দেখুন।

প্রেস সচিব বলেন, শুধু যখন আপনার হাতের কাছে এই সামগ্রিক চিত্র থাকবে তখনই আপনি বুঝতে পারবেন অনেক বড়সড় দাবির ভেতর কতটা ফাঁপা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—তখনই আপনি নিজের রিপোর্টের দিকে ফিরে তাকিয়ে দেখবেন না যে, অজান্তেই আপনিও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সাহায্য করেছেন।