Image description

সরকার পতনের দিন এক শ্রমিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর কারাগারে নেওয়ার পথে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুর ব্যারিস্টার সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালতে তোলার পর সুমনের হাতের হাতকড়া, মাথার হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়।

এ সময় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুর রহমান এজলাসে ওঠেন। এরপর গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, “তিনি মামলার এজাহারনামীয় ২৫ নং আসামি। মামলার বিষয়ে তার সাথে কথা বলার জন্য ২০ বা ১৫ মিনিট সাক্ষাতের প্রার্থনা করছি।”

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করে বলেন, “এ আসামি এজলাসে আসার পর ৩০ মিনিট আইনজীবী ছাড়াও অনেকের সাথে কথা বলেছেন। আরও কথা বলতে চান।”

এরপর আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানে উপস্থিতদের মধ্যে কয়েকজন সুমকে ‘বাটপার’ বলে ডেকে ওঠেন।

তখন ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, “ভালো থাকুক বাংলাদেশ। ভালো থাকুক বাংলাদেশ। আর কিছু না।”

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির এসআই শাখাওয়াত হোসেন গত ২৮ অগাস্ট সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য এদিন ঠিক করেন।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন ৩৫ বছর বয়সী মো. রিয়াজ।

পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফারজানা বেগম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১৩ জনকে আসামি করে গত ২২ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। সুমন মামলার একজন আসামি।

সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২১ অক্টোবর ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার হন। এর পর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে তাকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা) আসন থেকে সুমন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচনে।

সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ে পোস্ট ও লাইভ করে আলোচিত ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।