Image description

টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নারীর জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অফিস কক্ষে জাতিসংঘ নারী সংস্থার (ইউএন উইমেন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিংহ সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল নীতি প্রণয়নে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। নারীর জন্য একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলাই টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শর্ত।

সাক্ষাৎকালে কেয়ার ইকোনমির চ্যালেঞ্জ, নারীর নেতৃত্ব বিকাশ এবং সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ নানা অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষ সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে সম্মত হয় এবং জলবায়ু সহনশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।

আলোচনায় বলা হয়, সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সুশীল সমাজের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএন উইমেনের অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। লক্ষ্য হলো— জেন্ডার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর কণ্ঠস্বর জোরদার করা এবং নারীদের জন্য সহিংসতা ও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, উপসচিব জেসমিন নাহার এবং ইউএন উইমেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।