
ঢাকাআন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১১ প্রতিনিধি বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর রেলভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে পুলিশি হামলার জবাবদিহি, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং কমিটি সংস্কারের দাবি অন্তর্ভুক্ত। শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বৈঠকের ফলাফলের আগে সড়ক ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১১ প্রতিনিধি অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবি পরিষ্কার করেছেন—
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. এর আগে গঠিত কমিটি তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কমিটি সংস্কার করতে হবে এবং তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ে মেনে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করবে এবং আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
৪. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা ও চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন—ইঞ্জিনিয়ারিং ও নবম গ্রেডে প্রবেশের জন্য পরীক্ষা, টেকনিক্যাল দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীর অংশগ্রহণ এবং বিএসসি ছাড়া প্রকৌশলী পরিচয়দাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের যৌক্তিক দাবির জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে পুলিশের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ ও হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের নিশ্চয়তা চেয়েছেন।