স্বাস্থ্যকর বলে পরিচিত অনেক খাবারই আসলে হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে—বিশেষত যাদের নির্দিষ্ট কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে বা হৃদরোগজনিত ওষুধ সেবন করতে হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দিমিত্রি ইয়ারানোভ তার এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
তিনি জানান, সাধারণভাবে ভালো মনে করা কিছু খাবার শরীরে লবণ, পটাসিয়াম ও বিপাকীয় প্রক্রিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে হৃদপিণ্ড ও কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হলো, যেগুলো স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে—
১. কলা
কলা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি ফল। তবে যাদের কিডনির কর্মক্ষমতা কম বা যারা স্পিরোনোল্যাকটোন ও ARNI-এর মতো পটাসিয়াম-স্পেয়ারিং ওষুধ নেন, তাদের শরীরে কলার পটাসিয়াম ঠিকমতো বের হতে না-ও পারে। ফলে অতিরিক্ত পটাসিয়াম রক্তে জমে গিয়ে হৃদ্স্বাস্থ্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২. পালং শাক
ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় পালং শাককে সুপারফুড বলা হয়। কিন্তু এতে প্রচুর পটাসিয়াম থাকায় ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যে সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। পাশাপাশি পালং শাকে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন কে রয়েছে, যা ওয়ারফারিন গ্রহণকারীদের INR মাত্রা হঠাৎ পরিবর্তন করে রক্তপাত বা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৩. জাম্বুরা (গ্রেপফ্রুট)
জাম্বুরাতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলেও এতে থাকা ফুরানোকুমারিন CYP3A4 এনজাইমকে দমন করে, যা বহু হৃদরোগের ওষুধ ভাঙতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট স্ট্যাটিন বা ক্যালসিয়াম-চ্যানেল ব্লকার নেওয়া হলে জাম্বুরা শরীরে ওষুধের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. সয়া সস
বিশ্বজুড়ে খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত এই সসে প্রচুর সোডিয়াম থাকে। হৃদরোগী বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য সামান্য সয়া সসও ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে পানি ধরে রাখে, রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং দুর্বল হৃদপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।



