Image description

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর লাগামহীন লুটপাটে প্রায় পাথরশূন্য হয়ে পড়েছে। গেল বছরের ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই অবৈধ কার্যক্রম এখনো থামেনি। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ধলাই নদীর উৎসমুখে জমা হওয়া বিপুল পরিমাণ পাথর প্রতিদিন শত শত নৌকায় করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নদীতীরের বালি ও মাটিও কেটে নেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী চক্র দিন-রাত পাথর উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। গত দুই সপ্তাহে একাধিক পাহাড়ি ঢলের পর জমা হওয়া পাথরের স্তূপ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, এই সময়ে অন্তত শতকোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।

২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলের ফলে ধলাই নদীর উৎসমুখে পাঁচ একর জায়গাজুড়ে পাথর জমে প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায় সাদাপাথর। এর আগে ১৯৯০ সালে এমনভাবে পাথর জমা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে লুট হয়ে যায়। ভারতের মেঘালয় থেকে ভেসে আসা এই পাথর বাজারে অধিক মূল্যে বিক্রি হয়।

সম্প্রতি পর্যটকদের যাতায়াত কমে যাওয়ায় লুটপাট আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দিন-রাত মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক নৌকা দিয়ে পাথর পরিবহন হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের মাহমুদ আদনান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া পুলিশের পক্ষে একা কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাদা পাথর লুটের ঘটনার খবর পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্সের টিম অভিযান চালায়। আমরা পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এর বাইরে কী আর করার আছে?