Image description

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল। স্বাধীনতার পর তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল, কী কারণে, সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সঙ্গে ও কখনো আওয়ামীবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল তারা।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যদি সেদিন ঐতিহাসিক ঘোষণা না দিতেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের যদি নেতৃত্ব না দিতেন, রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ আজকে পর্যন্ত হয়তো বা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যেত।

এ্যানি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার শাহাদাত বরণের পর খালেদা জিয়া আপোষহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। পরপর তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, সদর উপজলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও জেলা ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ এমরানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।