
আওয়ামী লীগ আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের ‘অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শনিবার দুপুরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “কিছু জেনারেল শেখ হাসিনার আনুকূল্য পেতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ জেনারেলরা শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।”
আখতার হোসেন বলেন, “বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা গুম-খুন না হলে শেখ হাসিনা ‘ফ্যাসিস্ট’ হতে পারতেন না। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের প্রতিষ্ঠান করতে হলে তাদের অপরাধের বিচার অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন, তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। যারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
সকালে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর হয়ে রংপুরে পৌঁছান এনসিপির এই নেতা। পরে তিনি প্রয়াত রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা গ্রহণ করেন।
সংসদ নির্বাচন ও জোট রাজনীতি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, “এনসিপি এখনো কারও সঙ্গে জোট আলোচনা করেনি। তবে জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে জোটে যেতে আমরা উন্মুক্ত। আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের প্রয়োজনকে কেন্দ্র করেই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সংসদ নির্বাচনের আগেই বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে—এটাই জুলাই আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশ নেবে।”