Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনরত দুই ব্যক্তিকে পদত্যাগে বাধ্য করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নরসিংদী পৌরসভার মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এর আগে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে জেলখানা মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশস্থলে এসে মিলিত হন নেতাকর্মীরা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা দুজন আমাদের দলের কেউ না হলেও, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।”

তিনি আরও জানান, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে নতুন সংবিধান ও বিচার সংস্কারের দাবিতে ‘নতুন বাংলাদেশের ইস্তেহার’ ঘোষণা করা হবে।

২৪ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সে আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। তারপরও তারা রাস্তায় নেমে এসেছিল কারণ তারা জানে—ফ্যাসিস্ট শাসক থাকলে কেউ ন্যায্য অধিকার পাবে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, “এক বছরের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত করা হয়েছে, চপ্পুকে সরাতে দেওয়া হয়নি, নতুন সংবিধান প্রণয়ন আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা সব মনে রেখেছি, কোনো দাবি থেকে সরে আসিনি।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে দুপুরে নরসিংদী ক্লাবে ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের’ সঙ্গে মতবিনিময় করেন নেতৃবৃন্দ। শহীদ পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তারা এবং সার্বিক খোঁজখবর নেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন—এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ও নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনুভা জাবিন, সায়োরার তুষার, ইয়াসমিন মিতু, দেলোয়ার আকন্দ সৌরভ, সাইফুল ইসলাম, ইমতিয়াজ জাহান বেলাল, রোবাট হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল এবং উত্তরাঞ্চলের সংগঠক অ্যাডভোকেট শিরিন আক্তার শেলীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।