Image description

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, “মামলা হয়েছে, আনিস আলমগীরকে আমরা গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।”

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।”

এই মামলায় আরও তিন আসামি হলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক)। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রোববার রাত ৮টার পর সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনেন।

তারা উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অভিযোগ দেন। এই অভিযোগই মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করার তথ্য জানালো পুলিশ।

সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি গণমাধ্যমকে বলেন, “বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন মিডিয়ায় টকশোতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে। বিষয়টি সাইবার সংক্রান্ত।”

অভিযোগে বলা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

“গত ৫ অগাস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।”

অভিযোগকারী বলছেন, “অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মত কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।”

আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন।

সমসাময়িক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে তার বক্তব্যের কারণে সম্প্রতি আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন তিনি। ফেইসবুকে দেওয়া তার বিভিন্ন পোস্ট নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে।