আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৮১টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে। এগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য জানান।
এবার পর্যবেক্ষক হতে আগ্রহী তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ৮১টি চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংলাপও করেছে ইসি।
ইসির কর্মকর্তারা বলেন, ৬ নভেম্বর ৬৬টিকে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৫টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে ৪ ডিসেম্বর নিবন্ধন দেওয়া হয়। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দিতে পারবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ ও গণভোট একই দিনে হবে। গণভোট পর্যবেক্ষণেরও সুযোগ থাকবে এবার। দুই ভোটের তফসিল চলতি সপ্তাহের শেষে ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
তফসিলের অপেক্ষার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার ম্যানুয়াল এখনও ছাপার কাজ শেষ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
সোমবার ইসির সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আরপিওর সবশেষ সংশোধন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী- এ তিনটি জিনিস আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ থেকে আসেনি। এজন্য নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল ছাপানো হয়নি। তিনটা পেলেই আপনার ম্যানুয়ালটা প্রিন্টিংয়ে দেওয়া যাবে।”
তফসিল ঘোষণার আগে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ইসি জানায়, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সেই সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট আয়োজন দেখেছেন।



