Image description

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ আসামিকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পুলিশি হেফাজতে নিতে নির্দেশ দেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাদশা নামে এক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পারুল আক্তার ওরফে গোলাপীকে দিয়ে হ্যানিট্র্যাপ করা হয়। ওই নারী বাদশাকে বিরক্ত করতে থাকে, এক পর্যায়ে বাদশা নারীকে ঘুসি মারেন। এ সময় গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপ দেয়। বাদশা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া দেয় একদল সন্ত্রাসী। আর বাদশাকে কোপানো এবং ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।

তিনি আরও বলেন, ভিডিও ধারণের ঘটনা সন্ত্রাসীরা দেখে ফেলায় ধারণকৃত ভিডিও কেটে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তুহিন ভিডিও ডিলিট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

ভয়াবহ এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নগরের বাসন থানায় একটি মামলা করেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।