
ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম সোমবার সকালে আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে একপর্যায়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয় তাকে। তখন তার মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং দুই হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। বিচারক পার্থ ভদ্রের এজলাসে তোলা হয় হাজী সেলিমকে, যেখানে তার হাতে ধরা ছিল পত্রিকার একটি পৃষ্ঠা।
১০টা ১৫ মিনিটে এক পুলিশ সদস্য ওই পৃষ্ঠাটি নিতে চাইলে সেলিম তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান, চিৎকার করতে থাকেন এবং বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে তার আইনজীবীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এরপর জুলাই আন্দোলনের সময় মনির হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন, যার আবেদন করেছিলেন শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক।
শুনানি শেষে তাকে ফের হাজতখানায় নেওয়ার সময়ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হেলমেট পরানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আবারও বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। পরে শান্ত হলে তাকে ধীরে ধীরে নিচে নামিয়ে হাজতখানায় পাঠানো হয়।
এদিন হাজী সেলিমকে দেখতে আদালতে আসেন বড় ভাইয়ের মেয়ে। ইশারায় কথা বলার সময় তাকে ছুঁতে না পেরে ভাতিজিকে উদ্দেশ করে ‘উড়ন্ত চুম্বন’ ছুড়ে দেন সেলিম।
তার আইনজীবী প্রাণনাথ বলেন, “হাজী সেলিম কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত। তিনি পত্রিকায় একটি জাহাজ সংক্রান্ত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেটে সঙ্গে এনেছিলেন, যেহেতু তার নিজের জাহাজ রয়েছে।”
‘উড়ন্ত চুম্বন’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনজীবী জানান, বিষয়টি তার চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের শেষ দিনে পলাশী মোড় সংলগ্ন ঢাকা মেডিকেল চত্বরে আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হন মনির হোসেন। ১৪ মার্চ তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার বাদী হয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।