Image description

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফ্যাক্ট-চেকার, কনটেন্ট মডারেটর, কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা এবং অনলাইন নিরাপত্তায় যুক্ত পেশাজীবীদের মার্কিন ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোতে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের একটি স্মারক নথি হাতে পেয়েছে, যেখানে কনস্যুলার কর্মকর্তাদেরকে ‘সুরক্ষিত মতপ্রকাশের সেন্সরশিপ বা সেন্সরশিপের প্রচেষ্টায় জড়িত কিংবা তাদের সহযোগীদের’ ভিসা আবেদন বাতিল করতে বলা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ সাংবাদিক, পর্যটক ভিসা এবং বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে জোর দিয়ে কার্যকর করা হবে। এইচ-১বি ভিসা সাধারণত ভারত ও চীনসহ কয়েকটি দেশের প্রযুক্তি খাতের দক্ষ কর্মীরা পেয়ে থাকেন।

ভিসা আবেদনকারীদের পেশাগত ইতিহাস, লিংকডইন প্রোফাইল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হবে। তথ্য যাচাই, কনটেন্ট মডারেশন, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি অথবা কমপ্লায়েন্সের কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তারা ভিসার অযোগ্য হবেন।

এই নীতি অনলাইন নিরাপত্তায় যুক্ত পেশাজীবীদের নিশানা করে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কনটেন্ট বা ক্ষতিকর অনলাইন কনটেন্ট মোকাবিলায় কাজ করা ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাজ্যের ২০২৩ সালের অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারাও এর আওতায় আসতে পারেন।

ট্রাম্প প্রশাসন এই নতুন ভিসা নির্দেশনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষা হিসেবে দাবি করছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে।

পার্টনারহিরোর ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিস গগুয়েন হান্সবার্গার এই কাজকে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি শিশু সুরক্ষা, প্রতারণা ও শোষণ ঠেকানোসহ জীবনরক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ কাজের অন্তর্ভুক্ত।

সূত্র: রয়টার্স