
গতকাল শনিবার রাতে ইউক্রেনে ৮ শতাধিক ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এদিকে, রাতভর রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন এলাকায় রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি প্যারিস বৈঠকে একমত হওয়া সিদ্ধান্তগুলোর সব প্রয়োগ করার জন্য মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
এ হামলায় কিয়েভে ৩২ বছর বয়সী এক নারী এবং তার ২ মাস বয়সী সন্তান নিহত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাবাহিনী ৭৪৭টি ড্রোন এবং চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
এদিকে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরকারি ভবনে চালিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া আরও বেশ কিছু ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতে রাজধানী কিয়েভের প্রধান সরকারি ভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনের ছাদে আগুন জ্বলছে এবং আকাশে ধোঁয়া উড়ছে।
ইউক্রেনের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ড্রোন হামলায় কিয়েভের কয়েকটি বহুতল ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, শত্রুর হামলায় ভবনের ছাদ ও ওপরের তলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
জেলেনস্কি বলেন, যখন বেশ আগেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, সে সময় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করার নামান্তর।’
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা করা নিয়ে আরও আলোচনার জন্য এ সপ্তাহে প্যারিসে বৈঠকে বসেছিল ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’।
গত বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছিলেন, ২৬টি দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েন এবং দেশটির স্থল, সমুদ্র ও আকাশসীমায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তদারকির বিষয়ও আছে।
মাখোঁর এ বক্তব্যের পরদিনই পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে মোতায়েন করা যেকোনো পশ্চিমা সেনা মস্কোর হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেন।
আজ রোববার জেলেনস্কি লেখেন, বিশ্ব চাইলে ক্রেমলিনের অপরাধীদের হত্যা বন্ধে বাধ্য করতে পারে। প্রয়োজন শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছার।