
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে শত শত দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রেপ্তার হওয়া নাগরিককে ‘অবৈধ এলিয়েন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বলব তারা অবৈধ এলিয়েন ছিল এবং আইসিই কেবল তার কাজ করেছে।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট লি কোরীয় নাগরিকদের সুরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী কোরীয় কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জর্জিয়া রাজ্যের সাভানার কাছে অবস্থিত হুন্ডাই মোটর-এলজি গাড়ির ব্যাটারি কারখানায় এক বৃহৎ অভিযানে প্রায় ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের শাখা আইসিই। এদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। এটিকে এখন পর্যন্ত আইসিই’র পরিচালিত সবচেয়ে বড় একক-সাইট অভিযান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন জানিয়েছেন, “আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং আমাদের নাগরিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে গভীর দায়িত্ববোধ করছি। প্রেসিডেন্ট লি দ্রুত সমাধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে আমি নিজেই ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করব।”
চো আরও জানান, সরকার ইতোমধ্যে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। ঘটনাস্থলে দ্রুত একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোরীয় নাগরিকদের অধিকার ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ব্যাটারি সরবরাহের উদ্দেশ্যে নির্মাণাধীন ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।