
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইউরোপীয় নেতারা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর ট্রাম্প ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বে ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি আমি। ভেবেছিলাম ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করাও সহজ হবে, কিন্তু এটা সবচেয়ে কঠিন। তবু আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা সমাধান খুঁজে পাব।” তিনি আরও যোগ করেন, “মানুষ মারা যাচ্ছে, আমরা সেটা থামাতে চাই। আমার বিশ্বাস, পুতিনও যুদ্ধ শেষ করতে চান।”
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধ শেষ হবে। জেলেনস্কি চান, পুতিনও চান, গোটা বিশ্বই ক্লান্ত। আমরা যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তির পথে এগোতে চাই। কারণ শান্তিচুক্তিই স্থায়ী সমাধানের পথ।”
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের খুব ভালো সুরক্ষা দেব, খুব ভালো নিরাপত্তা দেব।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “কিছু একটা ফল আসবে।” ট্রাম্প আরও জানান, ইউরোপের সাতজন নেতাও এ আলোচনায় যুক্ত আছেন।
জেলেনস্কি ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “হত্যাযজ্ঞ থামাতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে আপনার প্রচেষ্টা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখছি।”
বৈঠকের সময় হোয়াইট হাউস থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন ট্রাম্প। আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের মাত্র তিন দিন পরই জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেমলিন নিশ্চিত করেছে, ট্রাম্প–পুতিনের ফোনালাপ প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়।
ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপের পর ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। আলোচনায় মূলত যুদ্ধ বন্ধ, ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং ইউরোপের স্থিতিশীলতা নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়। বৈঠকের আগে হোয়াইট হাউসে পৌঁছালে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান। সাধারণত সামরিক পোশাকে দেখা গেলেও এবার কালো স্যুট–শার্টে হাজির হন জেলেনস্কি। তাকে দেখে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউক্রেনীয়দের ভালোবাসি।”