Image description

পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের আলোচনার মাঝেই দেশটিতে বড় আকারের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু প্রকল্প, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোতে চালানো এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এরই মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। তবে আরও নৃশংস হামলা থামাতে এখনো সময় আছে। সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ইরানকে একটি চুক্তিতে আসতেই হবে।”

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন, যদিও এতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ভাষ্যও একই রকম, তবে ইরান দাবি করেছে যে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।

২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী ইরান পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করলেও ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেন। ক্ষমতায় ফেরার পর আবারও চুক্তির সম্ভাবনায় আলোচনা শুরু করেন তিনি। এসব আলোচনার মধ্যস্থতা করছে ওমান। মাসকাট ও রোমে এরই মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছে; ষষ্ঠ দফা বৈঠক হওয়ার কথা রোববার।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৩ সালের পর থেকে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্প পুনরায় চালু করেনি এবং সম্প্রতি সে মূল্যায়নে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

হামলার পর হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নেন ট্রাম্প। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান, তবে কূটনৈতিক সমঝোতা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না।