Image description

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। 

তিনি বলেছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী যেন নিজেদের দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনায় বসে- এমনকি তারা নৈশভোজেও বসতে পারে! খবর দ্য ডনের।

একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উপসাগরীয় তিনটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন সৌদি আরবে রয়েছেন। 

রাজধানী রিয়াদে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি বলেছিলাম— ‘বন্ধুরা, চলো একটা সমঝোতায় আসি। বাণিজ্য করি। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং তোমরা যেসব সুন্দর জিনিস তৈরি করো, তা (বাণিজ্যের মাধ্যমে) বিনিময় করো’।

অবশ্য তিনি ভারত বা পাকিস্তানের কোন নেতাকে বা কার সঙ্গে এবং কখন এই কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তার সঙ্গে সৌদি আরবে রয়েছেন। 

ট্রাম্প বলেন, ভারত ও পাকিস্তান এখন আসলে ঠিকঠাক চলছে। হতে পারে, আমরা এমন কিছু করব যেন তারা একসঙ্গে নৈশভোজেও বসে।

ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট। তিনি বলেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সপ্তাহান্তে হওয়া যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাই এবং উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাই। এখন আমাদের লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলা।

ভারতের অভিযোগ অনুযায়ী পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে জড়িত কি না — এমন প্রশ্নে পিগট কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। 

তিনি বলেছেন, আমরা সবসময়ই সরাসরি সংলাপকে উৎসাহ দিয়ে আসছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন।

পাকিস্তান মূলত ভারতের এই অভিযোগগুলো বরাবরই ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে এবং বলে থাকে, ভারত এসব অভিযোগ তুলে বরং নিজেই আগ্রাসী নীতি পরিচালনা করে।

এক সাংবাদিক জানতে চান, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্বীকৃতি জানিয়েছে — এতে যুক্তরাষ্ট্র কী হতাশ? জবাবে পিগট বলেন, আমি এই বিষয়ে অনুমাননির্ভর কিছু বলব না। তবে আমরা যা বলতে পারি, তা হলো আমরা সরাসরি যোগাযোগের পক্ষেই থাকছি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশ কিনা, জানতে চাইলে তিনি প্রত্যক্ষভাবে কোনও সমালোচনা না করে বলেন, আমরা যেটা দেখে খুশি, সেটা হলো একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছে — এবং সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মীর সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে তার কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত? — এমন প্রশ্নের জবাবে পিগট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির পক্ষে, তিনি একজন সমঝোতাকারী। তার লক্ষ্য যেখানে সম্ভব, সেখানেই সংকটের সমাধান করা। তিনি প্রস্তুত সহায়তা করতে।