Image description

বিশ্বের বহুল সংখ্যক মানুষ নানা কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে সাধারণত বার্তা আদান-প্রদানের কারণে প্ল্যাটফর্মটি বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যে অর্থ উপার্জন সম্ভব, সেটি অনেকেরই অজানা।

হোয়াটসঅ্যাপে পরিষেবা প্রদান বা স্টিকার বিক্রির মতো বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঘরে বসেই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এ জন্য একটি স্মার্টফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থাকলেই যথেষ্ট। এ ব্যাপারে ফ্রি-ক্যাশ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে অর্থ আয়ের উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক-

১. পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি:
পদ্ধতিটি পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিংবা পরিষেবা বিক্রির প্রস্তাব করেন, তাহলে এতে গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি ব্যবসা প্রসারের দারুণ উপায়।

প্ল্যাটফর্মটির সহজ চ্যাটিং অপশনের ফলে পণ্য বিক্রি বা পরিষেবা প্রদান সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। নিজের পণ্য বিক্রির প্রস্তাব অন্যকে পৌঁছে দিতে প্রথমে একটি ক্যাটালগ তৈরি করেন। তারপর পণ্যগুলোকে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থাপন করুন।

২. টিউটরিং:
আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা থাকলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অন্যদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন। এমনকি চাইলে তা পরিষেবায় রূপান্তর করতে পারেন। বলা যায়, আপনি একজনকে নির্দেশনা দিচ্ছেন বা একটি গ্রুপ চ্যাটে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে শিক্ষা বা দক্ষতা শেয়ার করছেন, এতে শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষণার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছেন।

হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলিং পরিষেবার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে পারেন। আপনি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন এবং তাদের নিজ প্রক্রিয়ায় টিউটরিং প্রদান করছেন। এতে সহজেই আয় করতে পারবেন।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সর কনটেন্ট:
আপনার নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা পণ্য না থাকলেও সমস্যা নেই। অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আপনার সহযোগী হতে পারে। যা সম্পূর্ণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিল্প। আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষ লিঙ্ক বা ডিসকাউন্ট কোড নিয়ে তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। সেখান থেকে তারা যা কেনাকাটা করবে, তা থেকে কমিশন প্রদান করা হবে আপনাকে। এ ক্ষেত্রে রেফারেল প্রোগ্রামগুলোয় সক্রিয় হতে পারেন। আপনার অন্যান্য লিংক শেয়ার করার ফলে অ্যাকাউন্টে আরও বেশি অর্থ আসবে।

৪. অনলাইন ইভেন্ট হোস্টিং:
অনলাইন ইভেন্ট হোস্ট করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আশ্চর্যজনক একটি প্ল্যাটফর্ম। মানুষজন যেহেতু ক্রমশ ঘরে বসে অনলাইনে সবকিছুতে আগ্রহী, তাই প্ল্যাটফর্মটি থেকেই আপনি কিছু সোশ্যাল ইভেন্ট হোস্ট করতে পারেন।

৫. একটি কমিউনিটি তৈরি করা:
হোয়াটসঅ্যাপে একটি কমিউনিটি তৈরি করা হলে সেটি ফলপ্রসূ হতে পারে। যেখানে আপনি নিয়মিত সভা, এমনকি নিউজলেটার প্রদান করতে পারেন। এ জন্য অল্প পরিমাণ সদস্যপদ ফি থাকতে পারে। যেমন- হোয়াটসঅ্যাপে একটি ‘বুক ক্লাব’ কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী বইপ্রেমিকরা থাকবে।

৬. পেইড নিউজলেটার:
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা শেয়ার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একটি পেইড নিউজলেটার শুরুর কথা ভাবতে পারেন। ই-মেইলে প্রচারণার মতো পেইড নিউজলেটার এখন জনপ্রিয় পদ্ধতি হয়ে উঠেছে।

৭. হোয়াটসঅ্যাপে স্টিকার বিক্রি:
এই প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে আনন্দদায়ক বিষয় হচ্ছে ডাউনলোডযোগ্য স্টিকার দিয়ে আলাপচারিতা করা, যা আপনার চ্যাটিংকে আরও প্রাণবন্ত করে। পপ স্টুডিওর মতো একটি টুল স্টিকার ডিজাইন করা সহজ করতে পারে, তারপর আপনি ইটিএসওয়াই’র মতো প্ল্যাটফর্মে সেসব বিক্রি করতে পারেন।