Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছে শিবির-সমর্থিত “অদম্য জবিয়ান” প্যানেল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। ছাত্রদল ও তাদের সমর্থিত প্যানেলকে সুবিধা দিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা কমিশনের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সব ছাত্রসংগঠনের সাথে জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ২৭ নভেম্বর পূর্বঘোষিত তারিখে নির্বাচন করার পক্ষে মত দিলেও শুধু ছাত্রদলের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন ২৬ দিন পিছিয়ে ২২ ডিসেম্বর করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “গত ২ নভেম্বর ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত সংবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশক্তি অভিযোগ করে যে ছাত্রদল জকসু নির্বাচন দীর্ঘায়িত করতে চাইছে। আবার ৪ নভেম্বর জবি প্রেসক্লাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রদলের পেশিশক্তির চাপে জকসু নির্বাচন পেছাতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণার আগেই কমিশন তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের পরিচয় দিয়েছে।”

তার দাবি, এর পরেও নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেকে নানাভাবে ছাত্রদল ও তাদের সমর্থিত প্যানেলকে অন্যায়ভাবে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

রিয়াজুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, “গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সাদা দলের শিক্ষক ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রিফাত হোসাইন বলেন—২২ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে এর মধ্যে ভূমিকম্প হলে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়ভার নেবে কিনা? তিনি বলেন প্রশাসন কোনো দায়ভার নেবে না।”

রিয়াজুলের ভাষায়, দুর্যোগের দায়ভার প্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা।

তিনি বলেন, “প্রত্যুত্তরে অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের মাসুমা আক্তার প্রশ্ন করেন—২২ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন হলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রশাসন দায়ভার নেবে কিনা? তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, তিনি কোনো দায়ভার নেবেন না।”