Image description

বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে নতুন করে ১০ হাজার ২১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তিনটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রথম ধাপে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন করা যাবে ৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে করা যাবে—টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://dpe.teletalk.com.bd)। সেখানে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

সহকারী শিক্ষক পদের বেতন হবে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ত্রয়োদশ গ্রেডে। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে শিক্ষা জীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ মোট ১১২ টাকা দিতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিবাহিত নারী প্রার্থীরা তাদের স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটি ঠিকানায় আবেদন করতে পারবেন। তবে যেই ঠিকানায় আবেদন করবেন, সেই উপজেলা বা থানার শূন্য পদেই প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক। প্রার্থী যে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তিনি কেবল সেই এলাকার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনে নিজ জেলা, থানা বা উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজ উপজেলা বা থানায় চাকরি করতে হবে। তার বদলি নিজ উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যেই সীমিত থাকবে।

ধূমপান বা মাদক সেবনের অভ্যাস আছে এমন প্রার্থীদের আবেদন না করার পরামর্শ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রার্থীদের প্রথমে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ২ নভেম্বর প্রকাশিত সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাদ দেওয়া হয়, যা নিয়ে সমালোচনা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া নতুন বিধিমালায় কিছু শব্দগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।