
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আবারও নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন বাংলাদেশিকে সীমান্ত পথে ঠেলে দিয়েছে দেশে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে এসব বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবি জানিয়েছে, গত ৪০ দিনে বিএসএফের পুশব্যাকে দেশে ফিরেছেন ১,৪৩৫ জন।
বিজিবি সূত্র জানায়, কাজের খোঁজে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া এসব বাংলাদেশি নিজেদের নাগরিকত্ব দাবি করেছেন। আটক সবাইকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দিনাজপুরে ১৫ জন ফেরত, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অচিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে একই পরিবারের ১৪ জনসহ ১৫ জনকে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৯ শিশু ও ৩ নারী রয়েছে। তারা মুম্বাইয়ে কাজ করছিলেন বলে জানান। সবাই নড়াইল জেলার বাসিন্দা।
মৌলভীবাজারে ১৩ জন , বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে তিন নারী ও ছয় শিশুসহ ১৩ জনকে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ। বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ জানান, তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ে সাতজন , গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে তিন নারী, দুই পুরুষ ও দুই শিশুকে ফেরত পাঠানো হয়। তারা যশোর ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন।
নওগাঁয় এক নারী , ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে আছিয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীকে ফেরত পাঠায় বিএসএফ। তিনি ১০ বছর ধরে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে আয়া হিসেবে কাজ করছিলেন।
ময়মনসিংহে ৯ জন , মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই শিশুসহ ৯ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। আটজন বাগেরহাটের ও একজন ধোবাউড়ার বাসিন্দা। তারা চেন্নাইয়ে কাজ করতেন। চেন্নাই পুলিশের অভিযান থেকে বাঁচতে দালালের সহায়তায় দেশে ফিরছিলেন বলে জানান। মেঘালয়ের পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে পুশব্যাক করে।
বিজিবি জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।