
সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতির অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বড় জামতলা বাইপাসসংলগ্ন অফিস ও অফিস লাগোয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির মালিক আব্দুস সালাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি। এ বাড়িতে সভাপতির স্ত্রী রুপালি খাতুন একাই থাকেন।
আর আব্দুস সালাম থাকেন সিটি কলেজ মোড়সংলগ্ন ছোট জামতলার বাড়িতে।
আব্দুস সালামের দ্বিতীয় স্ত্রী রুপালি খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী রাতে এখানে থাকেন না। আমার ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। মেয়েটি তার নানার বাড়িতে থাকায় গত রাতে বাড়িতে একা ছিলাম।
রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের একটি মুখোশধারী দল অফিসের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় আমি জেগে গেলে তারা আমার গলায় দা ধরে কানের দুল, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। এরপর তারা শোকেসের তালা খুলে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। যা গতকাল সকালে আমার স্বামী রেখে গিয়েছিলেন।
তারা যাওয়ার সময় স্বামীর নাম ধরে গালাগাল করতে করতে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি এবং ব্যানারগুলো ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা চলে যাওয়ার পরপরই আমার বড় জা’কে সাথে নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। অফিস এবং ঘরের সাথে থাকা সিসিটিভির ক্যামেরাগুলো তারা ভাঙচুর করে। বিদ্যুতের তার কেটে দিয়ে গেছে।’
কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বা কাউকে চিনতে পারেননি জানিয়ে বলেন, ‘সবাই মুখোশ পরা ছিল।
কাউকে চিনতে পারিনি। কেউ লুঙ্গি পরা ছিল, কেউ প্যান্ট পরা ছিল। পরে বড় জা আমার স্বামীকে মোবাইলে ঘটনাটি জানান।’
ভুক্তভোগী আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুর সালাম বলেন, ‘আমি তো বাড়িতে ছিলাম না। আমার বড় ভাবি ফোন করে জানালে আমি তৎক্ষণাৎ থানায় ফোন করি।’
কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজনের সাথে আমার বিরোধ আছে। তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। সন্ধ্যায় মামলা করা হবে।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামিনুল হক জানান, এ ঘটনা জানার পরপরই থানার উপপরিদর্শক শামীমুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।