
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া প্রায় ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। তাদের দুজনের নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
সোমবার (৫ মে) কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় মামলা করেছেন দুদকের কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান।
আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এই সভাপতি একযুগের বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম করে বিসিবির শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসে দুদকে।
গত ২৮ এপ্রিল পাপনের দুর্নীতি খোঁজে পূর্বাচলে স্টেডিয়ামে নির্মাণ, বিপিএলের খরচ, আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগে খরচসহ ২৭ ধরণের নথি তলব করে বিসিবিতে চিঠি দেয় দুদক।
বিসিবির সাবেক এই সভাপতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগে মনোনয়নে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্যও হয়েছেন। এমপি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে অবৈধ সম্পদ ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পায় দুদক।
অন্যদিকে, বিসিবির অর্থ লুটপাটের ঘটনায় পৃথক আরও একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যার খোঁজে বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠাচ্ছে দুদক।