চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও হতাশাজনক পারফরম্যান্সে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ দল। তানজিদ হাসান তামিমের একক লড়াই সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটের পরাজয় বরণ করে টাইগাররা।
বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল। তানজিদের ব্যাটে ভর করে ১৪ ওভার পর্যন্ত স্কোর ছিল ৯৯/২। কিন্তু এরপর এক ভয়াবহ ধস। ১৫তম ওভারে সাইফ হাসান (২৩) আউট হওয়ার পর উইকেট যেন পড়তে লাগল টপাটপ। শেষ ৬ ওভারে হারাতে হলো ৮ উইকেট। তানজিদের ৮৯ ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি—মাত্র দু’জন ব্যাটার পৌঁছেছেন দুই অঙ্কে।
রোমারিও শেফার্ডের বলেই শেষ হয় তানজিদের প্রতিরোধ—হোল্ডারের হাতে ক্যাচ। এর আগে এই পেসার দেখান দুর্দান্ত নৈপুণ্য, নেন হ্যাটট্রিক (৩/৩৬)। খারি পিয়েরে ও রোস্টন চেজ নেন দুটি করে উইকেট। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ থেমে যায় ১৫১ রানে।
লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিলও নড়বড়ে। মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন দুই তরুণ—রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে।
দুজনের জুটিতে আসে ৯১ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ। ২৪ বলেই ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি অগাস্টে—যা তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতক। ২৫ বলের ইনিংসে মারেন ৫ ছক্কা, ১ চার। অপরপ্রান্তে থাকা চেজ খেলেন পরিণত ইনিংস—২৯ বলে ৫০। দুজনই সাজঘরে ফেরেন রিশাদের বলে, কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ অনেক দূরে সরে গেছে বাংলাদেশের হাত থেকে।
রিশাদ শেষ দিকে ৩ উইকেট (৪-০-৪৩-৩) নিলেও ফল বদলায়নি কিছু। অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল শেষ পর্যন্ত ১৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় এনে দেন দলকে (১৬.৫ ওভারে ১৫২/৫)।



