Image description

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের ইনিংস ধুঁকছিল। তবে আবারও দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন তরুণ রিশাদ হোসেন। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ২৬ রানের পর, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি খেললেন মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। এই ইনিংসের সৌজন্যে রিশাদ গড়লেন বাংলাদেশের হয়ে কমপক্ষে ১০ বল খেলা ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে রান করার নতুন রেকর্ড।

৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো রিশাদের ইনিংসটির স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৮.৫৭। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভেঙে দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের যৌথভাবে ধরে রাখা পুরোনো রেকর্ড। এত দিন রেকর্ডটি ছিল মাশরাফির দখলে, যিনি ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ বলে ২৭৫ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ রান করেছিলেন। তার সেই ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।

অন্যদিকে, ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানও ১৬ বলে ২৭৫ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ রান করেছিলেন, যা সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়। রিশাদ তার পারফরম্যান্স দিয়ে এবার এই দুই মহাতারকাকেই ছাড়িয়ে গেলেন।

৪৬তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহান আউট হলে ক্রিজে নামেন রিশাদ। পরের ওভারে রস্টোন চেজের বলে নিজের প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি। এরপর ৪৯তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে ১টি চারের সঙ্গে হাঁকান ২টি ছক্কা। আর শেষ ওভারে আকিল হোসেনের প্রথম বলে ছক্কার পর চতুর্থ বলে চার মেরে নিজের ইনিংসকে পূর্ণতা দেন এই তরুণ।

মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ৫০ রানের দ্রুতগতির একটি জুটি গড়েন রিশাদ। এই জুটিতে মিরাজের অবদান ছিল ১০ বলে মাত্র ১১ রান। রিশাদের এই ক্যামিওর কল্যাণেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয়।