Image description

ছয় মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। বুধবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

এসময় কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে এলাহী, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের গত ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন এবং পরে ভাঙচুর করেন। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পদবঞ্চিতরা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে ঢোকার পর দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক (২২)।

পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় খোকন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। গত বছরের ২৭ জুলাই তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিক খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে কারাগারেই ছিলেন বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা।