Image description

বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কোন সরকার তা করতে পারে নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন,  শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে, কথা বলেছে।

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীতে তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি, তরমুজ, স্যালাইন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মে দিবসে প্রথমে স্মরণ করতে চাই, সেই সকল শ্রমজীবী মানুষদের যারা আমাদের মত “গাড়িঘোড়া চড়ার” লোভ করে না, যাদের স্বপ্ন শুধু মাত্র ন্যায্য এবং মৌলিক অধিকারগুলো আদায় করার মাধ্যমে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা। একটি ভালো পোশাক আর তিনবেলা দু’মুঠো খাবার, আর রাতে ঘুমাবার জন্য একটা ঘর, এসবই অগণিত শ্রমজীবী মানুষের কাছে ‘স্বাধীনতার সমার্থক। 

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ১৯৭৫-এর পর দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দীর্ঘ সামরিক স্বৈরশাসন আমলে এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষকে নিষ্পেষিত করা হয়েছে, বঞ্চিত করা হয়েছে। ওদের সেই দুর্বিষহ শাসনামলে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নির্যাতিত হতদরিদ্র মানুষদের দীর্ঘশ্বাস আকাশে-বাতাসে প্রকম্পিত হয়েছে। সেই অভিশপ্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে আমাদের প্রজন্ম বেড়ে উঠতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরশাসকদের আমলে দু’মুঠো ভাতের জন্য শিশুদের পরিণত হতে দেখেছি সামান্য অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার বলি হতে। আজকে সেই প্রতিক্রিয়াশীল মহলের প্রেতাত্মারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে। একটা নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্তে ওরা মত্ত। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকার পরেও, ভোটা উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরেও আমাদের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এই দেশি-বিদেশী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য যুগান্তকারী কাজ করছে বর্তমান সরকার। আরও যে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, সেটা সবাই স্বীকার করবে। শ্রমিকদের জীবন মানেরও উন্নয়নে যুগান্তকারী কাজ করেছে বর্তমান সরকার, যার জলজ্যান্ত একটা নিদর্শন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন ভবনসমূহ। শ্রমিকদের কাজের উন্নত পরিবেশও খুব দরকার। বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কোন সরকার করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, এদেশের খেটে-খাওয়া কর্মজীবী মানুষরাই আমাদের সকল শক্তির উৎস। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন, তীব্র এই তাপদাহে গোটা বাংলাদেশের মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম ঠিক সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে বিগত কয়েক দিন সারা বাংলাদেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন, ছাতা, রসালো ফল নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মহান মে দিবসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, সুপেয় পানি, তরমুজ ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে।

তিনি বলেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বসে নেই। তারা সাধারণ মানুষের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী আছে বিএনপি-জামায়াত তারা এই দুর্যোগের দিনে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ক্ষতি করা যায়, দেশের মানুষের ক্ষতি করা যায়, কিভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু তারা এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা শেখ হাসিনার কথা বলে। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। 

.এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এই আই আহমেদ, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।