Image description

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এখন ভালো অবস্থায় আছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেড করতে হয়েছে। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। গত একমাস যাবত এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ আছে। সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’ ‘এ বিষয়গুলো পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব গ্রামঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে। আমরা সেটার ব্যবস্থা করে একটা ভালো অবস্থায় আছি।’

সোমবার (০৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু হওয়ায় ধীরে ধীরে লোডশেডিং কমে আসছে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেল ও আর্থিক স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা, যেসব প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তারা আনতে পারছিলেন না। যে কারণে প্রথম দিকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল। সেটা কমে এসেছে। পরে ৫০০ থেকে শূন্যে নেমে এসেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা ভালোর দিকে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, নিজেদের দিক থেকে তেল সরবরাহ করার। এখন সেটার ব্যবস্থা চলছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমর মনে হয় না, কোথাও লোডশেড করে আরেক জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আমরা আছি। আজ দেখবেন জিরো লোডশেডিং। ধীরে ধীরে কমে আসছে।’

একদিকে উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড, অন্যদিকে লোড শেডিং কেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। কাজেই এখানে একটা পার্থক্য আছে। বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেটার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। অর্থের সংস্থান এবং তেলের চাহিদা, এ দুটোর সমন্বয় করতে যতটুকু সময় লেগেছে, সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় লোডশেড করতে হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।’