
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং আরও দুই ঊর্ধ্বতন সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করেছেন। শুক্রবার তিন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেওয়ার পর তার প্রশাসন সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় ‘অপছন্দের’ কর্মকর্তাদের একের পর এক বরখাস্ত করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় এবার পেন্টাগনের গোয়েন্দাপ্রধানসহ এ তিন কর্মকর্তাও চাকরি হারালেন।
তবে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি ক্রুজকে কী কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হেগসেথ একই সঙ্গে মার্কিন নৌ রিজার্ভের প্রধান এবং নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ডের কমান্ডারকেও পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেন তাদের অপসারণ করা হলো তা অজানা।
গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারকে দেশ সুরক্ষার উপকরণ হিসেবে না দেখে আনুগত্য যাচাইয়ের জন্য ব্যবহারের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বিপজ্জনক অভ্যাসের’ নজির আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে মার্ক ওয়ার্নার মন্তব্য করেছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথমে তিন কর্মকর্তার বরখাস্তের খবর প্রকাশ করে।
এর আগে এপ্রিলে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালকসহ হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডজনাধিক কর্মীকে পদচ্যুত করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পেন্টাগনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের চাকরিতে কোপ বসাতে শুরু করেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, বিমান বাহিনীর জেনারেল সি কিউ ব্রাউন এবং আরও পাঁচ অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকে বরখাস্ত করেন।
ডিআইএ-এর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা সংক্রান্ত মূল্যায়ন ফাঁস হওয়ার ঘটনাও ক্রুজের চাকরিচ্যুতির সাথে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়নি।