
গাজা সিটিতে পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ চলছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের বাধার কারণে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে না পারায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার এএফপি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ সমর্থিত ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) বিশ্লেষকরা জানান, গাজায় অন্তত ৫ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার মুখে পড়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ দেইর আল বালাহ ও খান ইউনিস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আইপিসি গাজাকে খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ ধাপ ‘পর্যায়-৫’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেছেন, ‘এই দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধযোগ্য ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের বাধার কারণে খাবার পৌঁছানো যাচ্ছে না।’ আর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক বলেছেন, ‘যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধা ব্যবহার করা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
এদিকে, ইসরায়েল জাতিসংঘের ঘোষণাকে ‘মিথ্যা তথ্যভিত্তিক’ দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের অভিযোগ, হামাসের প্রচারণার ওপর নির্ভর করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
চলমান সংকটের মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দ্রুত শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই পরিস্থিতি আর চলতে দিতে পারি না।”
জাতিসংঘের এই ঘোষণা এসেছে এমন সময়ে যখন ইসরায়েল গাজা সিটিতে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। হামলার তীব্রতায় তাঁবুতে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনি দিগ্বিদিক ছুটছেন। অন্তত ১০ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।