Image description

পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন।

রাজধানী বেইজিংয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার পর চীন জানিয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তারা দৃঢ়ভাবে দেশটির পাশে রয়েছে। বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চীন এই বার্তা দেয়। খবর দ্যা ডনের।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেও তারা সংলাপ ও শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য মেটানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।

বেইজিং সফরে আসা পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার–এর সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ওয়াং।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান হচ্ছে চীনের ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য, দৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং দুই দেশের সব পরিস্থিতিতে কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করা হবে।

এদিকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য বৈঠকে ইসহাক দার চীনকে ধন্যবাদ জানান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই দেশের নেতৃত্ব।

এর আগে, ইসহাক দার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও–এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সিপিসির সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে একমত হন দুই নেতা।

এদিকে, বেইজিংয়ে বুধবার (২১ মে) এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বৈঠকে অন্য দুই কূটনীতিক হলেন- চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।

বৈঠকে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণে সম্মত হন তারা।

চীনের আমন্ত্রণে ইসহাক দার সোমবার বেইজিং পৌঁছান চার দিনের সরকারি সফরে। এই ত্রিপাক্ষিক ফোরামটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আগের বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয় বেইজিং ও কাবুলে।