Image description

সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছে। সৌদি যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে সৌদিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে তেল আবিবকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দিয়েছে রিয়াদ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা একটি কলামে এ তথ্য জানিয়েছেন কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান।

তিনি লিখেছেন, দুই দেশের চুক্তিতে কিছু শর্তসাপেক্ষে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয় রয়েছে। রিয়াদের শর্ত মানলেই এমনটা হবে। সৌদির শর্তগুলো হলো, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ স্থগিত এবং ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চলে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন।

তিনি আরও লিখেছেন, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপন হবে যদি শুধুমাত্র সৌদির শর্ত মেনে নেওয়া হয়। তাদের শর্ত হলো: গাজা থেকে সরে যেতে হবে, বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

তবে এই কলামিস্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখনই সৌদির শর্ত মেনে নেয়ার মতো কোনো সরকার ইসরায়েলে আসবে তখনই চুক্তিটি হবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম এ্যাকর্ডেও যোগ দেয়নি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল