Image description

অনেকেই রমজান মাসে ইফতারে তেলে ভাজা খাবার খেতে পছন্দ করেন। তবে সারাদিন না খেয়ে এমন খাবার খেলে শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে অনেককেই পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা ভাজাপোড়া খাবার দিয়ে ইফতার করলে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির কারণে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। রোজার সময় অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা হয়।

ভাজাপোড়া এড়িয়ে যা খাবেন:

স্বাস্থ্য সচেতনরা ইফতারে প্রতিদিন পানি, খেজুর ও ফলমূল খেয়ে থাকেন। বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার গাজর, মিষ্টি আলু, বিট এবং জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল, গমজাতীয় খাবার, ওটস খাওয়ার অভ্যাস দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া ইফতারিতে আলাদাভাবে টকদই রাখতে পারেন। এটি শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অনেকে সালাদ, ছোলা ও মুড়ির সঙ্গে টকদই খান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইফতারে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে ইফতারিতে সাধারণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

অনেকে আদা, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা, লেবু, শসা, টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। এসব খাবার শরীরে খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। ইফতারিতে পাতলা খিচুড়ি ও হালিম খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারি। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে চেষ্টা করুন। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এ পুরো সময়ে চা, কফি, কোল্ডড্রিংকস না খাওয়াই ভালো। এতে পানিশূন্যতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।