Image description

আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক হল ডাঁটা শাক। বাজারে সারাবছরই ডাঁটা শাক পাওয়া যায়। ইলিশ-ডাঁটা ও চিংড়ি-ডাঁটা অনেকের অতি প্রিয় তরকারি। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হ্যালো বন্ধুরা, ডাঁটায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ বিদ্যমান। ডাঁটার কাণ্ডের চেয়ে পাতা বেশি পুষ্টিকর। খুব কম সবজিতে এত পরিমাণে বিভিন্ন  প্রকার ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। ডাঁটা শাকে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়। ডাঁটা শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-কে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হাড় শক্তপোক্ত হয়ে উঠলে অস্টিওপরোসিস মতো হাড়ের রোগ যে আর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিডনির ফাংশন ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে ডাঁটা শাক খুব ভালো কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডাঁটা শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অন্যদিকে রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। মানুষের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ডাঁটা শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। সেই সব দূরে রাখতে ডাঁটা শাক খুবই উপযোগী। যদি প্রতিদিন ডাঁটা শাক খাওয়া যায় তাহলে খুবই উপকারী। ডাঁটা শাকের মূল দিয়ে দাঁত মেজে, লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দাঁতের মধ্যে থাকা হলুদ ভাব কেটে যায়। এছাড়াও দাঁতের অন্যান্য সমস্যাগুলোও আর হয় না। তাহলে আজকে থেকেই, পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাঁটা শাক খাওয়া শুরু করুন এবং সুস্থ থাকুন।