ঢাকা–১৮ আসনে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং সরকারি প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে বিএনপি নেতা এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন স্থানীয় একাধিক নাগরিক।
সম্প্রতি দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো ২ পাতার অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম–দুর্নীতির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দোকানদার, পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করছেন। এতে সাধারণ মানুষ স্থায়ী ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তার নেতৃত্বে একটি চক্র এলাকার জমি দখল, দোকান ভাঙচুর ও অবৈধ নির্মাণের কাজেও সম্পৃক্ত। অভিযোগে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন এবং দখলকাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন। এসব দখলবাজির কারণে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, উত্তরা থানার ভাটুলিয়া মহিলা মাদরাসার সরকারি নির্মাণকাজেও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নিম্নমানের ইট–বালু–সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রকল্প এলাকায় কোনো সরকারি সাইনবোর্ড না থাকায় কাজের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘটছে, যা সরকারের অর্থের অপচয় ও জনস্বার্থের ক্ষতি করছে।
অভিযোগকারীরা দুদকের প্রতি তিনটি দাবি জানিয়েছেন—
১. অভিযোগের সব বিষয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত করা।
২. অভিযোগ সত্য হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. সরকারি প্রকল্পে মানহীন নির্মাণ ও সাইনবোর্ড না লাগানোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
অভিযোগকারীরা দুদককে জানিয়েছেন, তারা প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্য বা প্রমাণ দিতে প্রস্তুত।



