
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগ সুপারিশ ও নিয়োগপত্র প্রদানসংক্রান্ত নতুন পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জারিকৃত এই পরিপত্রে নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট সময়সীমা, দায়িত্ব এবং বিধিনিষেধ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও স্নাতক পাস কলেজসমূহে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক ব্যতীত ট্রেড অ্যাসিস্ট্যান্ট, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব সহকারী, ল্যাব সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া, অফিস সহায়কসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগ সুপারিশ প্রদান ও নিয়োগপত্র ইস্যু সংক্রান্ত নির্দেশনা এই পরিপত্রের মাধ্যমে জারি করা হলো।
পরিপত্রে বলা হয়, নিয়োগ কমিটির কাছ থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রার্থীকে রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠাতে হবে। এ সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র না পাঠালে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিতসহ বিধিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও দায়িত্বহীন আচরণের জন্য ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
শূন্যপদ নিরূপণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী যথাযথ যাচাই করে শূন্য বা নবসৃষ্ট পদের বিবরণী তৈরি করবেন এবং তা প্রতিবছর ৩১ আগস্টের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসারে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এসব তথ্য প্রেরণ করবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা চূড়ান্ত করবে।
প্রাপ্যতাবিহীন পদের জন্য নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপারিশ পাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিকে সভা করে নিয়োগ রেজুলেশন পাস করতে হবে এবং নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর একটি নির্ধারিত টেমপ্লেট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে, যা নিয়োগপত্র ইস্যুর জন্য ব্যবহার করতে হবে।
নিয়োগপত্র ইস্যু থেকে শুরু করে শূন্যপদ নিরূপণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, এ নির্দেশনার বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। নতুন পরিপত্রের ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি জারি করা পরিপত্রের সংশ্লিষ্ট অংশসমূহ রহিত হয়েছে।