
সমকামিতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এর পাঁচ শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলে ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক উৎপল কুমার দাস বলেন, “গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে এবং তাদের হল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায় একদল শিক্ষার্থী। পরে তারা উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।”
তিনি জানান, “তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সঠিক তদন্ত ও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে জরুরি এক সভায় ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়। ২২ জুলাই কেএনআই হলের তিনজন এবং এসটি হলের দুইজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কারের নোটিশ দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২৪ জুলাই কেএনআই হলের আরও একজন এবং বিজয় ২৪ হলের একজন শিক্ষার্থীকে একই অভিযোগে হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
ডুয়েটের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসে ‘সমকামিতা ছড়িয়ে’ পড়েছে এবং কয়েক মাস ধরে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা বলেন, মাত্র কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু আরও শিক্ষার্থী এই কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। তাদেরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
পরিস্থিতি তদন্তে ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডুয়েটের বোর্ড অফ ডিসিপ্লিন তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) উৎপল কুমার দাস।