Image description

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, আমরা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরোধী চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি ইহুদি শিক্ষার্থীরাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে। যারা গণতন্ত্রের মোড়ল হিসেবে পরিচয় দেয় তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। বিশ্বের মোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কত মানুষ মারা গেলে এটাকে জেনোসাইড বলা হবে?

তিনি বলেন, আমেরিকা যখন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভেটো দিয়েছে তখন সেই দেশের শিক্ষার্থীরা প্যালেস্টাইনের পক্ষে কথা বলছে।

সোমবার (০৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় তাদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, সারাবিশ্বে যারা ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের জানাই সালাম। সীমান্ত ছেড়ে গোটা বিশ্ব একাত্মতা পোষণ করছে ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তোলায় আমেরিকায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানবতাবিরোধীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। গাজায় অবিলম্বে আমরা যুদ্ধবিরোধী চাই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখেছি ইহুদি শিক্ষার্থীরাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে। বিশ্বের মোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কত মানুষ মারা গেলে এটাকে জেনোসাইড বলা হবে? বিশ্বে যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ হবে সেখানেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাশে থাকবে।

আজ সারাদেশে যে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে কর্মসূচি পালন হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এরপর তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আফিস ইনান বলেন, আমরা একসাথে মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই। আসুন আমরা একত্র হয়ে আগামী বিশ্বের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলি। আমরা বিশ্বব্যাপী চলা আন্দোলনের সাথে একত্মতা প্রকাশ করছি।

সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ইশহাক আহমেদ বলেন, আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। গাজায় শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। ইনশাআল্লাহ একদিন সময় পরিবর্তন হবে। ধন্যবাদ বাংলাদেশের জনগণকে। ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ। ফ্রি ফিলিস্তিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত বলেন, সারাবিশ্বের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আজকে যখন আমাদের শিশুরা দুধে ভাতে থাকে। সেখানে শিশুরা খাবার পায় না। হাসপাতালে পর্যন্ত হামলা চালানো হয়। শান্তির কথা বলে যারা হামলা করে তাদের পক্ষে আর না। সারা বিশ্বের শান্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম। ধন্যবাদ জানাই যারা আমেরিকার নাগরিক হয়েও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। যতোদিন পর্যন্ত ফিলিস্থিন স্বাধীন হবে না ততোদিন ছাত্রলীগ পাশে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রলীগের দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন করি না। আমরা সারাবিশ্বের শোষিত মানুষের পাশে দাঁড়াই। আজ বিশ্বের অনেক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছে। আমরা প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের কষ্টটা বুঝি। কিন্তু আমরা বুঝি না বিশ্ব নেতারা কেন চুপ। আমি সারাবিশ্বের ছাত্রদের বলতে চাই সবাই প্রশ্ন তুলুন।