Image description

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনের লক্ষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সেই সিদ্ধান্ত না মেনে আবাসিক হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রাধ্যক্ষরা। এদিকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসাথে আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিও করছেন তারা।

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষদের অবস্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হলে তারা পৃথকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানায়।

এর আগে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাসির হুসেইন ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক আল আমিন।

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাসির হুসেইন বলেন, আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার মতো কোনো পরিস্থিতি ক্যাম্পাসে তৈরি হয়নি। এখানে যে বলা হয়েছে আবাসিক হলগুলোতে অস্ত্র ঢুকেছে, টাকা দেওয়া হচ্ছে, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি কাজী নজরুল ইসলাম হলে এমন কিছু নাই। আমি মনে শিক্ষার্থীদের আজকের যে আন্দোলন তা যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত। আমি মনে করি প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অনৈতিক। আমি এই যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। কাজী নজরুল ইসলাম হল শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষবিহীন একমাত্র আবাসিক শিক্ষক আল আমিন বলেন, আমিও নাসির ভাইয়ের সাথে একমত। আমিও হল খোলা রাখবো।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই যে, বিকাল ৪ টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নোটিশ দিয়েছে এটা নিয়ে আমরা স্ট্রিক না। যদি ছাত্ররা মনে করে হলে থাকতে হবে তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাবো না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।

ক্লাসে ফিরে যাওয়ার দাবিতে মানববন্ধনে করেছে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল কারো বাপের না। আমরা আবাসিক হলে থাকব দেখি কে কি করতে পারে। আমাদের শিক্ষকদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে আমরা তাঁর বিচার চাই। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রশাসন একটি স্বেরাচারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।