আদালতের নির্দেশে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ সম্পর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার দুটি দৈনিকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় বলে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
‘জয় বাংলা ব্রিগেডের’ জুম মিটিংয়ে যোগ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
সিআইডি বলছে, এ মামলায় বৃহস্পতিবার ২৬১ জনকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম।
মামলাটি হয় গত ২৭ মার্চ, বাদী হন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে তিনি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৪ অগাস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন।
‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’
খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড' প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামও রয়েছেন মামলার আসামিদের মধ্যে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ২৬১ জনকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এল।



