Image description

অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে সারাদেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। গত এক মাসে কেবল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই ১ হাজার ৫২১ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ১১টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন মরিচ দেশে প্রবেশ করেছে।

খুচরা বাজারে দেখা যায়, ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ আমদানিকারকদের নথি অনুযায়ী ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বন্দরে দাম দাঁড়াচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

বেনাপোলের আমদানিকারক হাফিজ আহমেদ জানান, মরিচের বড় অংশ ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে আনতে হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, খরচ বাদ দিয়ে কম লাভেই বিক্রি করছেন তারা, কিন্তু খুচরা বাজারে হাতবদল হয়ে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, “প্রতি কেজি মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। যদি শুল্ক কমানো হয়, তাহলে আমদানি ব্যয়ও কমবে এবং বাজারেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।”

বেনাপোল বাজারের ব্যবসায়ী আনন্দ জানান, “আমদানি করা মরিচ স্থানীয় বাজারে সীমিত পরিমাণে আসে। বেশিরভাগ মরিচ বিভাগীয় ও জেলা শহরে চলে যায়, এজন্য স্থানীয়ভাবে দাম বেশি থাকে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।”

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সঠিক তদারকি না থাকায় কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবির ইসলাম নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, “দাম এত বেশি হওয়ার একমাত্র কারণ সরকারের বাজার তদারকির ঘাটতি।”

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, চাহিদা বাড়ায় মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য ছাড় করে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক