
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। অনেকে সাধ্যের মধ্যে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়- বিশেষ করে ময়দা, ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, ডিম, মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২১০০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি সাইজের ইলিশের দামও ১২০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে মানুষের ভিড় কিছুটা বেশি, তাই বিক্রেতারা অন্যান্য মাছের দামও চাইছেন বেশি।
ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে, যা সপ্তাহখানেক আগেও ১৪৫-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা দামে। খাসির মাংস এখন ১২০০ টাকায়, আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি হালি ৪৬-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ ডজনপ্রতি ১৪০-১৪৫ টাকা।
সয়াবিন তেল (লুজ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৭২ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬২ টাকা। পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের দামও বেড়েছে যথাক্রমে ১০ ও ১১ টাকা করে। খোলা ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা।
ডালের বাজারেও রয়েছে দামের উর্ধ্বগতি। মাঝারি মানের মশুর ডাল এখন ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ছোট দানার ডাল ১৫৫ টাকা। আর বড় দানার ডাল কিছুটা সস্তায় ৯৫-১১০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব ডালের দাম ছিল তুলনামূলক কম।
মসলার বাজারেও লাগাম নেই। দেশি পেঁয়াজ এখন ৮৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকায়। দেশি রসুন ১৬০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায়। আদা (আমদানি) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এলাচ কেজিপ্রতি ৫২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।