
বিশ্ববাজারে কমছে স্বর্ণের দাম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনা ইতিবাচক দিকে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে স্বর্ণে। ফলে দামেও পড়ছে তার সরাসরি প্রভাব। সোমবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ১.৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩,২৭৭.৩৪ ডলারে। অন্যদিকে, ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দর পড়ে প্রায় ১.৯ শতাংশ। এ বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ কেনাবেচা হচ্ছে ৩,২৮১.৭০ ডলারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের মান বাড়ছে। এতে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে বৈশ্বিক বাজারে।
রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের কমোডিটি বিশেষজ্ঞ জিগার ত্রিবেদী জানান, বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক ইঙ্গিত আসার পর ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া বৈঠকেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে স্বর্ণের দাম আরও কমে ৩,২০০ ডলারে নেমে আসতে পারে।
এই দরপতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অগ্রগতি। রোববার (১১ মে) দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি চুক্তির পথে এগোচ্ছে। চীনের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য’ হয়েছে।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হি লাইফেং জানান, আলোচনার ফল হিসেবে সোমবার জেনেভায় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছিল, যার ফলে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতিক এই অগ্রগতি সেই উদ্বেগ অনেকটাই প্রশমিত করেছে। আর এ কারণে বিনিয়োগকারীরা আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে ফিরে যাচ্ছেন, যার প্রভাব পড়ছে সোনার বাজারে।