বাহরাইনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ঘটিকায় মানামার বাংলাদেশ দূতাবাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া শেখ রাসেলের উপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, ৭৫-এর ঘাতকেরা শিশু রাসেলকে রেহাই দেয়নি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে, আমরা নিঃসন্দেহে একজন দূরদর্শী নেতা পেতাম। দেশের শিশু-কিশোর তথা তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম।
মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশ ও বিশ্বের নিপীড়িত জনতার প্রেরণার উৎস হিসেবে সবসময়ই দীপ্তিমান থাকবে। এ সময় তিনি প্রবাসীদের প্রতি বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে শেখ রাসেলের জীবনীর উপর শিশু-কিশোরদের মাঝে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের এবং স্বাধীনতা অর্জনে যারা শাহাদাতবরণ করেছেন সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।