বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং জনগণের সম্পদ লুট করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় মানুষের অধিকার রক্ষায় পাশে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ যখনই বিপদে পড়েছে, আমরা তাদের পাশে থেকেছি, আগামী দিনেও থাকবো।
তিনি বলেন, দুর্গম দ্বীপ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও রাঙ্গাবালীতে এখনও সরকারি হাসপাতাল নাই। এই আসনে আওয়ামী লীগের সময় দুইজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কেউ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। তারা জনগণের নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র কোরআনে বলা আছে, মানুষ যদি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্যোগ না নেয়, আল্লাহও তাকে সাহায্য করেন না। তাই আগামী দিনে উন্নয়ন চাইলে যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে, তাদেরই ভোট দিতে হবে।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেছেন দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, যাদের অনেকের আয়ের উৎস নেই। বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রতিটি পরিবারের প্রবীণ নারীর নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেয়া হবে, তারা সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক অনুদান পাবেন।
চাকরিপ্রত্যাশী তরুণদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেখাপড়া শেষ করার পর এক বছর পর্যন্ত বেকার ভাতা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে জনগণ কখনো সুষ্ঠু ভোট দিতে পারেনি-কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, কখনো দিনের ভোট রাতে হয়েছে কিংবা কখনো নিজেরা নিজেরা। তাই আগামী দিনে দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
তিনি আরও বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও আমি এমপি ছিলাম না, তবুও রাঙ্গাবালীর জন্য কাজ করেছি আপনাদের দাবিতে মেট্রিক ও দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র দিয়েছি, উপজেলা গঠন করেছি। তাই উন্নয়ন চাইলে আপনাদের সংসদে নিজেদের লোক পাঠাতে হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও আয়কর আইনজীবী আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু। কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহিদ নান্নু মুন্সী এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নান্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুন্সি।
এছাড়াও এতে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



