নাটোরের বড়াইগ্রামে ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীর বাড়িতে মব সৃষ্টি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ফুল কুমারী গমেজ (৪৬) বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দিঘইর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী। ফুল কুমারী গমেজ দিঘইর গ্রামের মৃত করনেলিউস গমেজের স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে নিসান হাসান (২২), কুশমাইল গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে নয়ন হোসেন (২৩), সরাবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২০) এবং ময়লাল আলীর ছেলে হৃদয় হাসান (২১)। অভিযুক্তদের মধ্যে নিসান হাসান জোনাইল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এবং বাকিরা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
ফুল কুমারী গণমাধ্যমকে জানান, তার স্বামী মারা গেছেন এবং একমাত্র মেয়ে ঢাকায় পড়াশোনা করেন। তিনি একাই বাড়িতে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তরা বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। দরজা না খোলায় তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে আগুন দেওয়ার হুমকি দেন। পরে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালান। এ সময় বিছানার নিচ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে চলে যান।
তিনি বলেন, “আমি বারবার অনুরোধ করার পরও তারা আমার কথা শোনেনি। তারা আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে গেল। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নিসান হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নাই। তবে ওই মহিলা মদ তৈরি করেন। ধারণা করছি, আমরা মদ বিক্রিতে বাধা দেওয়ার কারণে এই অভিযোগ করেছেন।”
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



