ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলী বলেছেন, শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড রহস্যজনক। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ, ডিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে। তদন্তে আমরা সন্তোষজনক অগ্রগতি পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এতে প্রতিপক্ষ সতর্ক হয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত মামলার তদন্তে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাজ্জাদ আলী বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র বর্তমানে সিআইডিতে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেছে এবং তদন্তে ২১৮ কোটি টাকার স্বাক্ষরিত একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি উদ্ঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই মামলার বিষয়ে আমার কাছে যতটুকু তথ্য রয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে যতটুকু প্রকাশ করা সম্ভব, সেটুকুই আজ আপনাদের জানিয়েছি। আগামীকাল ডিবির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির প্রধান বিস্তারিতভাবে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।



